পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি শুরুর আগে বিক্ষোভ ও জমায়েত বন্ধ করতে ইসলামাবাদে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। স্থানীয় জেলা প্রশাসনের থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির বাইরে।
রবিবার স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টায় ইমরান খানের এ অধিবেশন শুরু হয়েছে।
এ দিকে ইমরান খানের বিরুদ্ধে আস্থা ভোটের আগে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির স্পিকার আসাদ কায়সারকে অপসারণের জন্য একটি প্রস্তাব এনেছে বিরোধীরা। আরও জানা যায়, ভোটাভুটি শুরুর আগে পাঞ্জাবের গভর্নরকে বরখাস্ত করেছেন ইমরান খান।
ভোটাভুটির আগে অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে-বিপক্ষে তর্ক-বিতর্ক হওয়ার কথাও রয়েছে। বিরোধীরা পার্লামেন্টের গত দুই অধিবেশনে এই বিতর্ক উত্থাপনের চেষ্টা করেন। কিন্তু স্পিকার পার্লামেন্টের অধিবেশন মুলতবি করায় তা সম্ভব হয়নি। সর্বশেষ যেদিন অধিবেশন মুলতবি করা হয়, সেদিন বিরোধীরা স্পিকারের সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে তারা স্পিকারকে বিতর্ক শেষ না করে অধিবেশন মুলতবি না করার আহ্বান জানান। বিরোধীদের ওই আহ্বানে সাড়া দিয়ে ৩ এপ্রিল দিনটি ধার্য করা হয়েছিল বিতর্ক ও ভোটাভুটির জন্য।
কয়েক দিন আগেই পিটিআইর জোটসঙ্গী এমকিউএম আনুষ্ঠানিকভাবে বিরোধী শিবিরে যোগ দেওয়ায় পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছেন ইমরান। পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে মোট আসন ৩৪২টি। ইমরানকে ক্ষমতাচ্যুত করতে অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ১৭২টি ভোটের প্রয়োজন হবে। এখন পর্যন্ত বিরোধী জোটের হাতে রয়েছে ১৯৯ ভোট। অপরদিকে ইমরান সরকারের রয়েছে ১৪২ ভোট।
প্রসঙ্গত, গত ৮ মার্চ পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করে বিরোধী দলগুলো। গত ২৮ মার্চ জাতীয় পরিষদে আলোচনার জন্য অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। এ প্রস্তাব নিয়ে এখনো আলোচনা শুরু হয়নি। বিধি অনুযায়ী প্রস্তাব উত্থাপনের পর আলোচনা শুরু করতে ন্যূনতম তিন দিন থেকে সর্বোচ্চ সাত দিন সময় নেওয়া যায়।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।